উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত Bangladesh Air Force jet crash

 

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত:

৩১ জন নিহত, আহত শতাধিক

 

ঢাকা, ২২ জুলাই ২০২৫ (BSK MEDIA নিউজ ডেস্ক)


রাজধানীর উত্তরা ডায়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটেছে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনাবাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি চীনে তৈরি F7BGI প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু এবং ১৭০১৭১ জন আহত হয়েছে 

Bangladesh Air Force jet crash


 কীভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটল?

বিমানের উড্ডয়ন হয়েছিল কুর্মিটোলা (BAF Base Bir Uttom A. K. Khandker) বিমান ঘাঁটি থেকে দুপুর ১:০৬ টায়, বিদ্যালয়ের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয় |
পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ তৌকির ইসলাম বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হন, তবে তিনি জনবহুল এলাকায় প্রবেশ না করে খালি মাঠে নামানোর চেষ্টা করেন ।
বিমান স্কুল ভবনের ওপর ধাক্কা মারে, প্রথমে ভবনের কয়েকতলা ফ্ল্যাটে ঢুকে পরে, এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে ।

  নিহত আহত: মানবিক বিপর্যয়

মোট মৃত ৩১ জন, তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন শিশু, একজন শিক্ষক ও পাইলট রয়েছেন ।
আহত ১৭০–১৭১ জন, বেশিরভাগই দগ্ধ—মাঝে প্রায় ৭৮ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদের মধ্যে অনেকে গুরুতর অবস্থায় ।
মাহেরিন চৌধুরী, একজন শিক্ষক, বহু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান ।
p2

  জরুরি উদ্ধার চিকিৎসা ব্যবস্থা

 সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, ্যাব পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিন্ন-বিচ্ছিন্নভাবে উদ্ধার শুরু করেন 

আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয় 

বার্ন ইউনিটে গড়ে উঠেছে রক্তদান কর্মসূচি, রোগীদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাখা হচ্ছে 

 

p3


 পাইলটের সাহসিকতা

ISPR এর বরাতে বলা হয়েছে, পাইলট মীমাংসিতভাবেই জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে বিমানের পথ সরানো চেষ্টা করেছিলেন ।
প্রথম একক ফ্লাইটে এই দুর্ঘটনা ঘটলেও, তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন মর্মাহত এলাকায় প্রবেশ এড়ানোর ।

 

 শিক্ষার্থী ছাত্রজন তথ্যচাঞ্চল্য

দুর্ঘটনার পরপরই শতাধিক শিক্ষার্থী উত্তরা, শাহবাগ ও সচিবালয়ে বিক্ষোভে নামে ।

 শিক্ষার্থীদের স্লোগান: 

Why did our brothers die? We demand answers !

শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা—যেমন শিক্ষা উপদেষ্টা—দুর্ঘটনার স্থলে গিয়ে তাঁকে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন । মন্তব্য করেন এক ১১ শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি ।


 জাতীয় শোক সরকারি প্রতিক্রিয়া

সরকার ২২ জুলাইকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে, পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্টিত হয় ।
আন্তর্জাতিকভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন ইন্টারিম প্রধান মেহমুদ ইউনুস, ভারত ও চীনের রাষ্ট্রনেতারা ।

  

তদন্ত বিমানের নিরাপত্তা প্রশ্ন

বিমান বাহিনী উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, প্রাথমিকভাবে দোষ নির্ধারণে যান্ত্রিক ত্রুটি দায়ী করা হচ্ছে ।

 সামাজিক প্রশ্ন:

বনগত অশিক্ষিত ও পুরনো বিমান দিয়ে কেন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়? শিক্ষার্থীদের দাবি ও সমালোচনা প্রসারিত হয় ।

আহতদের চিকিৎসা পরিবারের করুণ পরিস্থিতি


 উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত বিমান দুর্ঘটনায় আহত:

অন্তত ১৭০ জনের মধ্যে ৭০৮০ জন শিক্ষার্থী এখনও গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন দগ্ধ যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে রাতদিন ধরে তীব্রভাবে চিকিৎসা চলছে। উদ্ধারকারীদের সূত্রে জানা যায় |

p5

রক্তদাতা সংকট দেখা দিয়েছে, গুণগত ও উপযুক্ত রক্ত না পেয়ে আরও রক্তদানের আবেদন করা হচ্ছে।
দগ্ধদের পুড়ার তীব্রতা চোখ রাঙাচ্ছে, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকরা বলছেন, আগুনের তীব্রতা এতই ভয়ংকর যে দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক।
আহত শিশুগুলোর অনেকের চোখে শিশুদের কষ্ট ও আতঙ্ক আজও প্রতিফলিত হচ্ছে, পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষায় রয়েছেন, চুপচাপ কাঁদছেন।

 

 শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দাবি

ঘটনার আগেই শিক্ষার্থীরা শুরু করে প্রতিবাদ—সাথে যোগ হয় অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ।

শিক্ষার্থীরা বলছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমান প্রশিক্ষণ চালানো বন্ধ করো, এবং দোষীদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার । এ দাবিতে তারা যুগ যুগ ধরে বিক্ষোভ করছেন।
শাহবাগ, সচিবালয় ও উত্তরায় শিক্ষার্থীদের সমাবেশ হয়, স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী অনশনও করেন।
পুলিশের সঙ্গে ছোটখাটো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয় | কিছু শিক্ষার্থী ও সরকারি কর্মচারী আহত হন।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বিমান দুর্ঘটনার পর শিক্ষা উপদেষ্টা, সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন, যা তারা দায়পালনের বেআইনি আচরণ, বলে অভিহিত করেছেন।
যেভাবে বাতাসে আগুনের উল্কি উড়ছে, সেটাই যেন আমাদের সঙ্কট কালু, একজন ১০ম শ্রেণির ছাত্র, মন্তব্য করেন।

 

p6


  সরকারি পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

 

 অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ  ও ৎকানিকভাবে জাতীয় সমবেদনা:

২২ জুলাইকে ঘটাৎসানুষ্ঠান ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা।
উচ্চস্তরের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের বিমান বাহিনী এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAAB)।
সাময়িক প্রশাসন মামলা ও ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনা নিয়েছে, আহতদের পরিবারদের আর্থিক ও আইনগত সুরক্ষা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে।

 

 আন্তর্জাতিক সাড়া

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতিসংঘ, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র-সহ আন্তর্জাতিক নেতারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যারা বর্তমান নেতৃবৃন্দ, তারা হতাহতদের পরিবারে সাথে যোগাযোগ করেন এবং সমর্থন পাঠানোর কথা জানান।

 

 ভবিষ্যতের নীতি পরিবর্তনের উদ্দ্যোগ

 

দুর্ঘটনার পর প্রধান তিন দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে:

1. জনবহুল এলাকা সুরক্ষায় প্রশিক্ষণ সীমাবদ্ধতা
এখন থেকে স্কুল, মহল্লা ও জনবহুল এলাকাগুলোর উপরে প্রশিক্ষণ ফ্লাইট নিষিদ্ধ করা অনুরোধ উঠছে।
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারলে সুরক্ষা আরও ভাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


2. পাইলট ও বিমান রক্ষণাবেক্ষণের মান বৃদ্ধি
পাইলটদের গ্রীষ্মকালীন ও দৃশ্যমান সতর্কতা অংশে বিশেষ ট্রেনিং দিন এমন প্রস্তাব এসেছে।
বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্ভিস ইন্টেকগুলিকে আরও কঠোর মনিটরিং ও আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতি করা হবে।


3. বিমানের অংশের পর্যালোচনা ও কৌশলগত পরিবর্তন
F-7 BGI এমপ্লোয়েড হচ্ছে বেশ পুরোনো মডেল, কিছু বিমানবাহিনী এই ধরনের বিমানগুলোর ব্যবহার সংজ্ঞাবদ্ধ করছে।
গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম (যেমন সাপোর্ট স্ট্রাকচার, ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ, নতুন প্রযুক্তি যোগ) দ্রুত আপগ্রেডের কথা বলা হচ্ছে।

 

 শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক সহায়তা

আহত ও নিহতদের শিক্ষাবৃত্তি চালু রাখেতে সরকার, স্কুল প্রশাসন, ও শিল্পপতিদের সমন্বয়ে একটি 'শিক্ষা সহায়তা তহবিল, গঠন করা হবে।

গুরুতরভাবে আহত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উচ্চশিক্ষা ও যোগ্য পেশার জন্য স্কলারশিপ সরকারি প্যাকেজ চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মানসিক ও শারীরিক পুনর্বাসনে বিশেষ, কাউনসেলিং এবং হিলিং সেন্টার, তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।
🇨🇳 F‑7 BGI বিমানের বর্ধিত বিধি ও রক্ষণাবেক্ষণ
বিশেষ নজরে রাখা হচ্ছে, চীনের F‑7 BGI মডেল বিমানগুলোর নিরাপত্তা দিক।


বিশেষজ্ঞদের মতে:

বিমানগুলির ব্যবহার পুরনো ডেটার ওপর ভিত্তি করে – তাই কারিগরি ত্রুটির ঝুঁকি বেশি।
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষায়িত কাঠামো ও প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক সূত্রে জানা যায়, অন্য উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ মানসম্মত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

  সামাজিক আইনগত মূল্যায়ন

ছাত্র, অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ বিমান ও শিখা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ দাবি করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ,প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের নিয়মিত রিপোর্ট, ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এর দাবিদার চিঠি এবিষয়ে প্রচার পাচ্ছে।
আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠন ,গ্রামীন উপদেষ্টা কেন্দ্র (GAC) ঘোষণা দিয়েছে—প্রয়োজনে PIL (পাব্লিক ইন্টারেস্ট লিগ্যাল অ্যাকশন) ‍তৈরি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

p7
 

  সারসংক্ষেপ

এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ পরিবার, আহত শতাধিক মানুষ আর শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা ও সুবিচারই প্রথম অগ্রাধিকার।

প্রশাসন, নিরাপত্তা ও বিমান বাহিনী—সবার মধ্যে জবাবদিহিতার দরকার, নয়ত ভবিষ্যতে আবারও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

BSK MEDIA-(বাংলাদেশ সুপার কিং)

As an SEO and Digital Marketing Specialist, I help businesses grow online through data-driven strategies and innovative solutions. My expertise includes SEO, Content Marketing, Google Ads, Social Media Management, and E-commerce Growth. I focus on delivering impactful campaigns that enhance engagement, drive traffic, and boost conversions.

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post